শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
সারাদেশে অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাপদাহ অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির আশায় আকাশপানে তাকিয়ে মানুষ। এমন অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার উপজেলার বাইপাস মোড় নামক স্থানে খাদিজাতুল কুবরা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ফাইজুল ইসলাম ও এলাকা বাসির উদ্যোগে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাঠালিয়া বন্দর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান ও স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ওলামায়েকেরাম এবং এলাকাবাসী। নামাজ শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. রুহুল আমিন। এ সময় শিশু, যুবক, মধ্য বয়সী বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলনান ইস্তসকার নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে সবার আকুতিতে আমীন আমীন শব্দে চোখের পানি ফেলে ফেলে বৃষ্টির কামনায় ফরিয়াদ করেন এবং আল্লাহতালার দয়া ও রহমতের আশায় কান্নায় ভেঙে পরেন।
ইস্তিস্কা’ শব্দের অর্থ পানির জন্য প্রার্থনা করা। খরা বা দাবদাহের অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতি ভরে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে হয়। এই নামাজকে ইস্তিস্কার নামাজ বলে। পরপর তিন দিন ইস্তিস্কার নামাজ পড়া সুন্নত। যদি ইতিমধ্যে বৃষ্টি হয়েও যায়, তবু তিন দিন করা উত্তম। এই তিন দিন নফল রোজা রাখা মুস্তাহাব। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের মাঠের দিকে বের হয়ে গেলেন, অতঃপর ইস্তিস্কা (আল্লাহর কাছে পানি তলব) করলেন। তিনি কিবলামুখী হলেন। তাঁর চাদর উল্টিয়ে পরলেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)।